শ্রীমতি মানসী চৌধুরী

প্রধান শিক্ষিকা

সারদা বিদ্যাপীঠ (উ.মা.)

প্রধান শিক্ষিকার কলমে

১৯৯৫ সালে প্রথম-পঞ্চম শ্রেণীর স্বল্পসংখ্যক ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়ে শুরু হয়ে ছিল সারদা বিদ্যাপীঠের পথ চলা, ২০২০-এর ১লা মে বিদ্যালয় পূর্ণ করল রজত জয়ন্তী বর্ষ। বিগত ২৫ বছরের পথ চলার ক্ষেত্রে বিদ্যালয় পাশে পেয়েছে অনেক শুভানুধ্যায়ীকে। তাদের প্রত্যেকের জন্য থাকল আমার অন্তরের অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। বিশেষ করে যাঁর কথা বলতেই হয় তিনি হলেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক মহাবিদ্যালয়ের তৎকালীন অধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় স্বামী সুপর্ণানন্দজী মহারাজ। বিদ্যাপীঠের মঙ্গলের জন্য তাঁর পরামর্শ ও সহযোগিতায় বিদ্যাপীঠ সমৃদ্ধ হয়েছে সর্বদা। বিগত ২৫ বছরে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গ, প্রতিযোগিতার বিচারকগণ, বিভিন্ন পরীক্ষার পরীক্ষকরূপে আগত গুণীজন-এর অবদানে বিদ্যালয় ধন্য। সম্পূর্ণ বিনা বেতনে বছরের পর বছর বিদ্যালয়ের কম্পিউটার-এর শিক্ষক শ্রীযুক্ত বিজনকান্তি বর্ধন মহাশয় এবং প্রয়াত বাংলার শিক্ষিকা শ্রীমতী মুকুলিকা নাগ বিদ্যালয়ের সেবা করেছেন। এঁদের প্রতি বিদ্যালয় বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ।


২০২০ শিক্ষাবর্ষে ভারতবর্ষ তথা সমগ্র বিশ্বজুড়ে মানুষ যে অস্থিরতার মধ্য দিয়ে চলেছে আমরাও তার বাইরে নই। কিন্তু এই ভয়ংকর পরিস্থিতিতেও সারদা বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন প্রশাসক শ্রীযুক্ত অভিজিত দে মহাশয়-এর এবং বর্তমান প্রশাসক শ্রীযুক্ত দিব্যেন্দু মণ্ডল মহাশয়ের সহযোগিতা ও পরামর্শে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন এবং বিভিন্ন কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। ওনাদের প্রতি বিদ্যালয় বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম বর্তমান পরিস্থিতিতেও পঠনপাঠন ও বিভিন্ন কাজকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে অবিরত। কোভিড-১৯-এর ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও সময়োপযোগী পাঠদানের প্রয়োজনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা Online guidance ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে চলেছেন। স্বল্পসময়ের মধ্যে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কম্পিউটারের শিক্ষিকা শ্রীমতী মধুমিতা মজুমদার, আংশিক সময়ের শিক্ষক শ্রী অভিনন্দন সরকার এবং পদার্থবিদ্যার আংশিক সময়ে শিক্ষক শ্ৰী আকাশ রঞ্জন নস্কর-এর সহযোগিতায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে পঠন-পাঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিপদের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন Official কাজে বিদ্যাপীঠের শিক্ষাকর্মীদের নিরলস পরিশ্রমও প্রশংসনীয়।


বিদ্যাপীঠের Online guidance এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সহযোগিতাও প্রশংসনীয়। বাড়ীতে থেকেঅভিভাবকরা ছাত্রছাত্রীদের বিশেষভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন। সকল অভিভাবককে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই।

সবশেষে বিদ্যাপীঠের সমস্ত প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক, শুভানুধ্যায়ীদের সুস্থ ও শান্তিপূর্ণ জীবন শ্রীশ্রীমায়ের চরণে প্রার্থনা করি।